আ.লীগ নেতারা ‘ইয়া নফসি ইয়া নফসি’ করছে : আলাল

0
126

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ‘ইয়া নফসি ইয়া নফসি’ শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াবহ পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন জেডআরএফ’র হোম হেলথ সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি, জেলা বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ‘স্মার্ট হোম টেবিল’ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ইয়ানফসি ইয়ানফসি শুরু হয়ে গেছে। কেউ কানাডা চলে গিয়েছেন। কেউ চিকিৎসার নামে লন্ডনে যাচ্ছেন। কোনো উপদেষ্টা গিয়ে লন্ডনে বসে আছেন বহুদিন ধরে। রাজনৈতিক উপদেষ্টা তিনিও নাকি চলে গেছেন। ইয়ানফসি করতে করতে তারা যেখানে দিন পার করছেন। সেখানে তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশনায় বেগম খালেদা জিয়ার আশীর্বাদ এবং দোয়ায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এই কাজগুলো করে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে।’

আলাল বলেন, ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র এবং সরকার আমাকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে বাধ্য, এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু ট্রাজেডিটা হচ্ছে সেই জায়গায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়, তারা মানুষের অধিকারকে থোরাই কেয়ার করে না। সেটা আজকে দিনে দিনে বিভিন্ন জায়গায় প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জুন মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা গেছে, পৃথিবীর উনিশটি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত ১১০৬ জনের। তারপরে আরও বেড়েছে। শেষ সংখ্যাটা হয়তো ইতোমধ্যে দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

সরকারের কড়া সমালোচনা করে আলাল বলেন, ‘আজিমপুর কবরস্থানে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। পোস্তগোলা শ্মশান সেখানেও প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এই জিনিসগুলো আমাদের কোনো আলোচনার মধ্যে নেই। আমার কষ্টটা লাগে সেখানে যে দার্শনিকদের একটা কথা আছে তুমি জ্ঞান বিতরণ যাকে করবে বা যাদের করবে আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে যে, জ্ঞান আহরণ করার পিপাসা তাদের আছে কি না। না হলে জ্ঞান দেয়া নিরর্থক। এই সরকারকে জ্ঞান দেয়ার কোনো কারণ নেই। এবং এটা নিরর্থক বলে মনে করি।’

স্বাস্থ্য সেবার বেহাল দশা তুলে ধরে আলাল বলেন, ‘হিসাব করে দেখেছি, দেশের প্রতিটা উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে যদি ৫টি এবং জেলা সদর হাসপাতালে ২০টি করে আইসিইউ বেড স্থাপন করা হয় তাতে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। সরকার ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে নাম মুছে ফেলার জন্য বারোশো টাকা কোটি টাকা খরচ করে, সোফিয়া রোবট এনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। আতশবাজি লেজার শো করে সেখানে শত কোটি টাকা খরচ করে, শেয়ার মার্কেট থেকে লক্ষ কোটি টাকা চুরি করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে শত শত কোটি টাকা চুরি হয়ে যায়। নয় লক্ষ কোটি টাকা এখন পর্যন্ত বিদেশে পাচার হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের আব্দুল হাই বাচ্চুকে ধরা হয় না।’

ডা. সেলিমের সঞ্চায়নায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা.ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটর সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বক্তব্য দেন।