সাওদা হত্যা: মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আসামির যাবজ্জীবন

0
19

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা বেগম হত্যা মামলার আসামি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র রাসেল মিয়ার মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এ, এস, এম আবদুল মোবিন-এর দ্বৈত বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল নামঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্র রাসেলের সাজা কমিয়ে এই রায় দেওয়া হয়।আদালতে প্রাথমিক শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। পরবর্তীতে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম. মাসুদ রানা, মো. আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে অংশ নেন।মলার ঘটনায় প্রকাশ, ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সওদা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার সওদার মা সাহিদা বেগম বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে মা উল্লেখ করেন তার মেয়ে ও রাসেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক কারণে সাওদা রাসেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ আসামি রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে। একই দিনে আসামি রাসেল মিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বরিশালের বিজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।আরও পড়ুন: অনিয়মে চলছে কুমিল্লার বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকসব সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ১ জুন আদালত আসামি রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আসামি হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৯ মে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার (২৩ নভেম্বর) রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।