‘সাকিব তরুণদের বার্তা দিচ্ছেন জুয়া হোক, যেভাবে হোক দেশ বেচে দাও’ 

    0
    61
    ‘সাকিব তরুণদের বার্তা দিচ্ছেন জুয়া হোক, যেভাবে হোক দেশ বেচে দাও’

    বেটিং বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল বেটউইনারের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় দলের আইকন, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের চুক্তি নিয়ে সরগরম দেশের ক্রীড়াঙ্গন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ওই চুক্তি বাতিল না করলে সাকিবকে দল থেকে বাদ দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বৃহস্পতিবার। এরপরই সাকিব জানান, তিনি বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন।

    বেটউইনারের সঙ্গে সাকিবের চুক্তির বিষয়ে শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার। সকালে উঠেই ফেসবুক সয়লাব। কেউ কী একটু খবর দেবেন যে আমাদের যিনি কৃতি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে ৩ লাখ টাকা দিতে চাই। আমার কাছে ৩ লাখ টাকা আছে পারিবারিক খরচের জন্য। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, সাকিব আল হাসানকে ৩ লাখ টাকা দিলে তাও যদি তার যে টাকা ইনকামের ভেতর থেকে ক্রাশ, কীভাবে টাকা ইনকাম করবে সেটা যদি কিছুটা কমে।

    ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি জানি না আপনারা জানেন কিনা সাকিব আল হাসান কিছুদিন আগে জুয়া কোম্পানির সঙ্গে বা জুয়া খেলার তথ্য গোপনের কারণে এক বছর তিনি ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার ছিলেন। অর্থাৎ এক বছর ক্রিকেট খেলতে পারেন নাই। আবার আরেকটা জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার কারণে বিসিবি, আমাদের ক্রিকেট বোর্ড, তারা বলছে, হয় আপনি ক্রিকেট খেলবেন বাংলাদেশের হয়ে না হলে জুয়াতে যাবেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ক্যানসেল করছেন।

    এসময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দায়িত্ব কি সব রাজনীতিবিদের? সব দায়িত্ব কি শেখ হাসিনার বা প্রধানমন্ত্রীর? সব দোষাদোষী তো আমরা বিভিন্নভাবেই করি প্রধানমন্ত্রীকে। ফেসবুকে সাকিব আল হাসানের দেড় কোটি ফলোয়ার আছেন। সব ইয়াং, তরুণ ফলোয়ার। তার যে কর্মকাণ্ড, মানুষজন পরিষ্কার বলে, সাকিব নিজের জন্য খেলে, দেশের জন্য খেলে না। সাকিব আল হাসান টাকার বিষয়ে কোনো কম্প্রমাইজ করে না।

    ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, এই যে একজন ক্রিকেটের সেলিব্রেটি তিনি কী কী সিগন্যাল দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষকে। সে সিগন্যাল দিয়ে যাচ্ছে দেশের তরুণদেরকে, যেভাবে পারো বাংলাদেশ থেকে তুমি টাকা-পয়সা ইনকাম করে বিদেশ চলে যাও। যেভাবে পারো তুমি বাংলাদেশের মাটি বাতাস ব্যবহার করে তুমি সেলিব্রেটি হও, হওয়ার পর বাংলাদেশের চিন্তা বাদ দাও বা কোনোভাবে যদি কোনো যোগ্যতা অর্জন কর, তাহলে আমরা যেটাকে বলি ব্রেন ড্রেইন, অর্থাৎ আমাদের সব কোয়ালিফায়েড লোকগুলো বিদেশ চলে যাচ্ছে। সাকিব তরুণদের এটা বলতেছে জুয়া হোক যেভাবে হোক, চান্স পেলে দেশ বেচে দাও। জুয়ার মাধ্যমে দেশ বেচে দাও। তারপরও তুমি তোমার বউ-বাচ্চা নিয়ে আরামে থাকো।