সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছুরিসহ আটক পাঁচজনের চারজনই ছাত্রলীগের 

0
28

আটকের পর ছেড়ে দেয়া হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের পেছন থেকে সাদা কাপড় ও ছুরি ব্যাগে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ছাড়া বাকি চারজনকে। ছেড়ে দেয়া চারজন ছাত্রলীগের বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে বের হচ্ছিলেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় এক ব্যক্তি মেয়রের পেছন পেছন ব্যাগ হাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের তার ওপর সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে ব্যাগে সাদা কাপড় ও দুটি ছুরি খুঁজে পান। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দুই নারীসহ আরও চারজন এগিয়ে গেলে ওই পাঁচজনকেই আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন আইনজীবীরা।

পরবর্তীতে জানা যায় আটক ব্যক্তিদের একজন হলেন ঢাকা আইন জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল ওরফে রিপন। ঢাকা জেলার সব আইন কলেজ নিয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা আইন জেলা ইউনিটটি গঠিত। আটক অন্য চারজন তার কর্মী বলে জানা গেছে। অবশ্য গতকাল রাতেই আসিফ ইকবালসহ চারজনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।


ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শেখ ফজলে নূর তাপস তার বক্তব্য শেষে সুপ্রিম কোর্টের মিলনায়তন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তার পেছন পেছন ব্যাগ হাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার নাম জানায়নি পুলিশ।

সন্দেহ হলে অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা তাকে আটক করে তল্লাশি করে। পরে তার ব্যাগে সাদা কাপড় ও দুটি ছুরি খুঁজে পায়। এ সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা আসিফ ইকবালসহ আরও চারজন তাকে ছাড়িয়ে নিতে যান। এসময় ক্ষুব্ধ আয়োজকেরা তাদের মারধর করেন। পরে পাঁচজনকেই আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আসিফ ইকবাল ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার বন্ধু। তাই সংগঠনের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে যোগাযোগ করার পর শুধু ব্যাগ হাতে মেয়র তাপসের পেছন পেছন যেতে চাওয়া ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমন ঘটনায় সংগঠনের এক নেতার নাম আসায় ছাত্রলীগ বিব্রত।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, তার (ব্যাগসহ আটক ব্যক্তি) বক্তব্য ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটার জন্য এখানে এসেছিলেন। তার সঙ্গে বড় ছুরি ছিল। এত বড় ছুরি আনার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আসিফ ইকবালসহ চারজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুধু ব্যাগ হাতে যাওয়া ব্যক্তিকে আটক রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।