সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে ইমরান খানকে যুবরাজের ফোন

    0
    33

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার (২৯ মার্চ) টেলিফোনে এ আমন্ত্রণ জানান তিনি। এসময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা করেন এই দুই নেতা। খবর দ্য ডনের।

    দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দফতর সূত্র জানিয়েছে, ফোনে কথাপোকথনের সময়ে সৌদি যুবরাজ করোনায় আক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এসময় ইমরান খানও সৌদি যুবরাজের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। সৌদি যুবরাজ সালমানের কিছুদিন আগে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

    এর আগে গত ২১ মার্চ সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজ পৃথক বার্তা পাঠিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেন। ৬৮ বছর বয়সী ইমরান খান গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) করোনার টিকা নেন। চীনে তৈরি সিনোফার্মার টিকা নেয়ার দুদিনের মাথায় গত শনিবার (২৭ মার্চ) তার করোনা শনাক্ত হয়।

    এদিকে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে গাছ লাগানোর বিশাল পরিকল্পনার জন্য সৌদি রাজপরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    চিঠিতে ইমরান লেখেন, আমি অত্যন্ত খুশি যে এই মহামারির মধ্যে রাজপরিবারের সবাই সুস্থ আছেন। দু’টি পবিত্র মসজিদের রক্ষক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়। জালবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, ভূমির ক্ষয় সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ‘সৌদি সবুজায়ন প্রকল্প’ ও ‘মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্প’ নামে সৌদি আরবের মহাপরিকল্পনার খবরে আমি আনন্দিত।

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাকিস্তান সরকারের ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন পাকিস্তান’ বা ‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন পাকিস্তান’ উদ্যোগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সৌদি আরব ও পাকিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় প্রকৃতিগত সমাধানে বিনিয়োগ করছে। ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান প্রায় এক বিলিয়ন গাছ লাগিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য এক হাজার কোটি বৃক্ষরোপণ। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশও অনুসরণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    গত ২৫ মার্চ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি সবুজায়ন ও মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্পের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবে এক হাজার কোটি টাকা গাছ লাগানো হবে। আর মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে আরও চার হাজার কোটি গাছ লাগাবে রিয়াদ। এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বন পুনরুদ্ধার কর্মসূচি।