৫০ বছর উন্নয়ন যাত্রায় অংশীদার হতে মালদ্বীপকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    0
    19

    মালদ্বীপের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে পারস্পরিক সুবিধার জন্য  বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘কোনো দেশ একা উন্নতি করতে পারে না। আশা করি, আমাদের উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে। সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপের সরকারি এবং বেসরকারি খাতকে আগামী ৫০ বছর আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানাই।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারী শিখিয়েছে সবাই পরস্পর নির্ভরশীল। একটি উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বার্থে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি আমরা। আমাদের জাতির পিতাও তা বলে গেছেন।’

    মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ ‘পিপলস মজলিসে’ স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ এবং ডেপুটি স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকার প্রধান। সেই সঙ্গে স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘মালদ্বীপের উন্নয়নের যাত্রা, এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে সফল উত্তরণ প্রত্যক্ষ করে আমরা বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়েছি। আশা করি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ পরিপূরকতাগুলোকে কাজে লাগাবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সুন্দর দেশ গণতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র, রাজনীতি ও নীতির আবাসস্থল।  মজলিসের বিশিষ্ট সদস্যদের মাঝে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গভীরভাবে সম্মানিত।’’

    তিনি আশা করেন, দুই দেশের আগামী ৫০ বছরের যাত্রা আরও ফলপ্রসূ হবে। জনগণের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমি মালদ্বীপের জনগণ এবং এর অগ্রগামী নেতাদের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’

    গত মার্চে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

    এসময় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশের নেতৃত্বদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন মালদ্বীপ সংসদের স্পিকার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুগুলোতে সম্মত করাতে প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ চুক্তি প্রণেতার অন্যতম হিসেবে বিবিসি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাকে একটি নৌকার চিত্র শিল্পকর্ম উপহারও দেন।