আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে টাকা তোলার নির্দেশ ইউএনও’র শ্যালকের!

    0
    17

    ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিয়ে বাণ্যিজের অভিযোগ উঠেছে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিমের শ্যালকের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না দেওয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘর বঞ্চিত অসহায় পরিবারের লোকজন ও উৎসুক জনতা আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় হরিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।পুলিশ জানায়, সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গৃহায়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি হরিপুর ইউএনও’র আওতায় সরকারি প্রকল্পের ঘর তৈরির মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব ছিল। সেই সুযোগে ইউএনও’র শ্যালক তানবিন হাসান ঘর বরাদ্দের নাম করে আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে ওই এলাকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার বাদী সাইদুল ইসলাম ও ভুক্তভোগী ওহাব আলী, এরশাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমরা অসহায় মানুষ আবুল কালাম আজাদ ঘর নির্মাণের কাজে দেখভালের দায়িত্বে ছিল। আর ইউএনও’র শ্যালক তানবিন প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। আমাদের ৯ জনকে ঘর দেয়ার কথা বললে আমরা ঋণ করে তাদের কথামতো আবুল কালাম আজাদকে টাকা বুঝে দেই, শুধু ঠাঁই পাওয়ার আশায়। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যেহেতু ইউএনও’র শ্যালক টাকা দিতে বলেছে ঘর পাবো। কিন্তু ঘর বরাদ্দের ফাইনাল তালিকায় আমাদের নাম না থাকায়। তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে কাল ক্ষেপণ করে। পরে আবুল কালাম আজাদকে সবাই আটক করে পুলিশে দেয়। আমরা আমাদের টাকা ফেরতের পাশাপাশি তারা আরও অনেক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছে তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করছি।হরিপুর উপজেলার ইউএনও আব্দুল করিম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এড়িয়ে যান।এ বিষয়ে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আওরঙ্গ জেব জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। আর ইউএনও’র শ্যালক তাকে ঘর বরাদ্দের জন্য স্থানীয়দের কাছে টাকা নেয়ার নির্দেশ দেয় বলে স্বীকার করে। মামলার এজাহারে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়েছে। আর অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িতের অভিযোগে ইউএনও’র শ্যালক তানবিনের নাম সন্দেহজনকভাবে এজাহারের ভেতরে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।এর আগে ওই উপজেলার এই প্রকল্পের বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) ঘর নির্মাণের কিছুদিন পর ফাটল ধরে বেশ কয়েকটি ঘর। পরে বরাদ্দ পাওয়া বাসিন্দারা ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তুললে পরে তা ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করে দেন ইউএনও।