আগামী শীতে করোনা সংকট কেটে যাবে বলে মনে করেন কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী জার্মানির বায়োএনটেকের প্রধান। তিনি আরও বলেন, বছরের শুরু থেকেই সবাইকে প্রতিষেধকের আওতায় নিয়ে আসা গেলেই কেবল সেটি সম্ভব। জার্মানির জৈববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক এর প্রধান তুর্কিশ বংশোদ্ভূত উগুর শাহীন ও তার সহধর্মিণী অইজলেম টুইরেসি মনে করেন চলতি বছরের শীতে করোনা হবে আরও ভয়ংকর ও প্রাণসংহারী। তবে ডিসেম্বর থেকেই ধাপে ধাপে সবাইকে প্রতিষেধকের আওতায় আনা গেলে আগামী শীতের আগের পৃথিবীকে ফিরে পাওয়া যাবে। এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারকে সঙ্গে নিয়ে আগামী এপ্রিলের মধ্যে আরও ৩০০ মিলিয়ন ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা করছে।একজন বলেন, আমাদের গর্ব গবেষক উগুর শাহীন কথাটা ঠিক বলেছে। আমি ব্যক্তিগভাবে বিশ্বাস করি আগামী শীতটা সবার জন্য নিরাপদ হবে। কারণ, বায়োএনটেকের তৈরি বিএনটি162B2 যে কোনও মানবদেহে ৯০ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে।অন্যদিকে সব ধরনের করোনা টিকা মানবদেহে কত দিন কার্যকরী ভূমিকা রাখবে, কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হতে পারে, প্রবীণদের ক্ষেত্রে গবেষণা কোন পর্যায়ে আছে তা এখনো অপরিষ্কার রয়ে গেছে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।স্থানীয় একজন বলেন, তাই যদি হয় তা হলে বিষয়টা অসাধারণ এবং অকল্পনীয়। তবে আমার সন্দেহ আছে যে টিকার স্থায়িত্ব বজায় থাকবে কত দিন। এর আগে সোয়াইন ফ্লুর প্রতিষেধক নেয়ার পর অনেকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা এখনো আমরা ভুলিনি। দেখা যাক কেমন হয়।এদিকে বায়োএনটেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার চলতি বছরেই ৫ কোটি এবং ২০২১ সালে ১৩০ কোটি ডোজ করোনার প্রতিষেধক তৈরির কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে জার্মানির বিভিন্ন স্থানে।