করোনা রোগীর সেবায় নিজের বাড়ি ছেড়ে দিলেন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি

0
205

করোনা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারণ করায় আক্রান্ত মানুষের সেবা এবং রোগীদের আইসোলেশনে রাখতে নিজের নেত্রকোনার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।

সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।

ন্যান্সি বলেন, নেত্রকোনায় আমার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে। বাড়িটি করোনা রোগী কিংবা যোদ্ধাদের জন্য ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু বর্তমানে দেশ এক ক্রান্তিকাল সময় অতিক্রম করছে সেহেতু বাড়িটি জনস্বার্থে ছেড়ে দিলাম। এতে করে যদি কারও উপকারে আসে তাহলে সেটিই হবে আমার জন্য একটি বড় পাওয়া। কারোনা মহামারি থাকা অবস্থায় যতদিন দরকার ততদিন আমার নেত্রকোনার বাড়ি জনস্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে প্রশাসন।

বাড়িটি কিভাবে কাজে লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যান্সি বলেন, এ বিষয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঈনউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তিনি কিভাবে বাড়িটি কাজে লাগাবেন তা আমাদের জানাবেন। আমরা বলেছি, ওই বাড়িটি করোনাযোদ্ধা চিকিৎসকদের থাকার জন্য কাজে লাগাতে পারেন। আবার অনেকের আইসোলেশনে জায়গা হচ্ছে না; সেক্ষেত্রে বাড়িটি কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়া চাইলে করোনাভাইরাসের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা এখানে থাকতে পারবেন।

সংগীতশিল্পী ন্যান্সি আরও বলেন, আমরা একটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এই যুদ্ধ কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারব না। দেশের মানুষ আজ অসহায়। খাদ্যের জন্য হাহাকার, সুচিকিৎসার অভাব। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা যারা স্বাবলম্বী; তাদের সবারই এগিয়ে আসা উচিত। আমার নিজের অনুশোচনার জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শুধু বাড়ি না, আমার গাড়িটা পর্যন্ত দিয়েছি এই মানবতার সেবায়। এই দুঃসময়ে যদি আমরা মানবিক না হই, তাহলে তো আমরা মনুষ্যত্বহীন মানুষে গণ্য হবো। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ততদিন বাড়িটি করোনাযোদ্ধারা ব্যবহার করতে পারবেন।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঈনউল ইসলাম বলেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি তার বাড়িটি ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। প্রয়োজন হলে আমরা তা কাজে লাগাবো।

ADVERTISEMENT

নেত্রকোনায় মোট ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে জেলার বারহাট্টা উপজেলায় ১০ জন, নেত্রকোনা সদরে চারজন, খালিয়াজুরী উপজেলায় চারজন, কেন্দুয়া উপজেলায় একজন, মোহনগঞ্জ উপজেলায় দুজন, কলমাকান্দা উপজেলায় তিনজন ও আটপাড়া উপজেলায় তিনজন রয়েছেন।