চট্টগামে পুলিশ হেফাজতে টেরীবাজারের দোকান কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ তাদের।
এর আগেও এক দোকান কর্মচারীকে ঘরে ঢুকে মারার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।গত ১৮ মার্চের ভিডিও চিত্রটিতে কথা কাটাকাটির জের ধরে টেরীবাজারের এক দোকানের কর্মচারীকে ঘরে ঢুকে বেধড়ক পেটান সহকারী উপ পরিদর্শক কামরুল।
গতকাল পুলিশ হেফাজতে একই এলাকার এক দোকান কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগের সেই মারধরের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। টেরীবাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।বিভিন্ন সময় দোকানদারদের কাছ থেকে যেমন চাঁদা চাওয়ার খবর পাওয়া গেছে তেমনি রয়েছে অকারণে পেটানোর অভিযোগ ও। এতদিন ভয়ে মুখ খোলেননি কেউ। দোকানের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন টেরীবাজারের ব্যবসায়ীরা।এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যদি নিরাপত্ত না পাই তাইলেতো আমরা থাকতে পারব না।আরেক ব্যবসায়ী বলেন, কী কারণে আমাদের অত্যাচার করবে?সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান।এ ঘটনায় কারো দায়িত্বে অবহেলা কিংবা গাফলতির প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান।তিনি বলেন, দ্রুতই আমরা মৃত্যুর প্রতিবেদনটা পেয়ে যাবো। ঘটনাটা আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি।ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।