ঝলসে গেছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, পুলিশ হেফাজতে দগ্ধ স্বামী

0
19

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় আগুনে ঝলসে গেছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। দগ্ধ হয়েছেন স্বামী প্রদীপ ওরফে আলামিনও। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কাউনিয়া দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। দগ্ধ স্ত্রী পুতুল রানীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

প্রতিবেশীদের দাবি, প্রদীপ তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন।

তবে প্রদীপের দাবি, ঝগড়া বিবাদ হওয়ায় স্ত্রী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র ও প্রতিবেশীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রদীপ ও তার স্ত্রী পুতুলের মধ্যে ঝগড়া হয়। গভীর রাতে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাইরে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলছে। এ সময় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঝগড়ার কারণে প্রদীপ তার স্ত্রীর গায়ে আগুন দিতে পারে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।

যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহম্মেদ তারেক শামস চৌধুরী জানান, ভোরে দগ্ধ দম্পতিকে হাসপাতালে আনা হয়। পুতুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। এছাড়া আহত প্রদীপের দুই হাত, চোয়াল ও মাথার চুল পুড়ে গেছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে প্রদীপ দাবি করেছেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে পুতুলের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পুতুল ঘরের বাইরে যেতে চাইলে তিনি বাধা দেন এবং দরজা আটকে শুয়ে পড়েন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে পাশের ঘরে গিয়ে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এতে তার দু’হাত পুড়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করে।

প্রদীপের দাবি, তিনি সনাতন ধর্ম গ্রহণ করে পুতুলকে ভালবেসে বিয়ে করেছেন।

ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ ওঠায় প্রদীপ পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে।

প্রসঙ্গত, প্রদীপ সনাতন ধর্ম গ্রহণের আগে মো. আলামিন নামে পরিচিত ছিলেন।