সিলেটে রায়হান হত্যা: আরেক কনস্টেবল হারুন গ্রেফতার

0
18

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে (৩০) নির্যাতন করে হত্যায় জড়িত বরখাস্ত হওয়া আরেক পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই)।শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতার হারুনুর রশিদকে শনিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।গতকাল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে তাকে পুলিশ লাইন থেকে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকেও রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ১১ অক্টোবর ভোররাতে রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে।এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন। বরখাস্ত হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। তবে ঘটনার পর অন্য ছয়জন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও আকবর পলাতক রয়েছেন।মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তদন্ত করছে পিবিআই। গত ১৪ অক্টোবর তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। গত ১৫ অক্টোবর মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করে পিবিআই।নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের শরীরে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ফরেনসিক রিপোর্টে। লাঠি দ্বারা করা এসব আঘাতের ৯৭টি লীলাফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল জখমের চিহ্ন। আর অতিরিক্ত আঘাতের কারণে দেহের ভেতর রগ ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণে রোববার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।