কর্মকর্তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    0
    36

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার ধাক্কা সামলাচ্ছে দেশ। ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে মানুষকে বাঁচানোর জন্য। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, প্রত্যেককে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস এখন মহামারি আকার দেখা দিয়েছে এবং আমরাও সেই ধাক্কাটা দেখতে পাচ্ছি। তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নিলেও ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে মানুষকে বাঁচানোর জন্য।তিনি আরও বলেন, দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সর্তক থাকার কথা বলা হয়েছে, আপনারাও (বিসিএস কর্মকর্তারা) সতর্ক থাকবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আর অন্যরাও যেন মেনে চলে সেদিকে দৃষ্টি দেবেন। প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। মানুষের জীবন-জীবিকা চলতে হবে, মানুষকে আমরা কষ্ট দিতে পারি না। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা একান্তভাবে অপরিহার্য। সেখানে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন।            

    এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন শুধু তাদেরকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে, যাদের প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ সপ্তাহ পূরণ হয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএস পেয়েছেন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত যারা টিকা নেননি তাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রমও চলছে।গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়।স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র মতে, টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বুধবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে মোট টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯১ ও নারী ২১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ জন।এদিকে দেশে প্রতিদিন সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডের মধ্যেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হলো। সবশেষ বুধবারও (৭ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টায় এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা চার দিন ৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।