চট্টগ্রামের ডিসি ক্ষমতার দাম্ভিকতায় প্রলাপ বকছেন।

    0
    229


    বিশেষ প্রতিনিধিঃ- চট্টগ্রাম পরীর পাহাড়ে আইনজীবী ভবন কে অবৈধ ভবন আখ্যায়িত করে
    এ গুলো উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক প্রচার করছে তাকে “আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার দম্ভে পাগলের প্রলাপ বকছেন বলে মন্তব্য করছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী নেতারা।
    তারা আরো বলেন, চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসক উদেশ্য প্রনোদিত ষড়যন্ত্র মূলক আমলাতান্ত্রিক কুটকৌশন অবলম্বনের মাধ্যমে তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে গোপনীয় প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পরীর পাহাড় এলাকা থেকে অবৈধ ভবন উচ্ছেদের সম্মতি নিতে পারে, যার সুত্র ধরে জেলা প্রশাসক যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার অনুসরণ করে নির্মিত আইনজীবী ভবনগুলোকে অবৈধ হিসেবে চিন্হিত করে
    সেগুলো উচ্ছেদ করবে বলে যে আস্ফালন করছে তাকে বেআইনী ও ক্ষমতার দম্ভ হিসেবে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী সমিতির।
    তারা আরো বলেন
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইনজীবী বান্ধব একজন জননেত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ছিলেন আইনের ছাত্র ছিলেন। আইনজীবীদের সাথে নিয়ে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে আজ সরকার গঠন করছেন।
    জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবিদের ব্যক্তিগত বিরোধে জেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম কৌশলে ব্যবহার সরকারকে বিব্রত অবস্হার ফেলে আইনজীবীদের মুখোমুখি করা হচ্ছে। যার থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহবান জানানো হয়।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এ এইচ এম জিয়া উদ্দীন বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন আইনজীবী বান্ধব নেত্রী, ১৯৮৮ সালে স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে নেত্রী চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানে জনসভা করতে আসলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশি হামলার স্বীকার হয়, তখন চট্টগ্রাম আইনজীবীরাই নেত্রী ভ্যানগার্ড হয়ে নেত্রীকে উদ্ধার এই জেলা আইনজীবী ভবনে নিয়ে এসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিল। এই নেত্রী জেনে শুনে কখনো এধরনের গোপনীয় প্রতিবেদন অনুমোদন দিতে পারেন না, এখানে তথ্য গোপন করে কি অনুমোদন এনেছে তা দেখা বিষয় রয়েছে, এখানে আদালত ও আইনজীবী পরস্পর অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাছাড়া আইনজীবী ভবন গুলো আইনজীবী সমিতির নামে বরাদ্দকৃত লিজ নেওয়া সম্পত্তি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সঠিক নিয়ম মেনে ভবন গুলো নির্মান করা হয়েছে যা ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের প্রতিবেদনে উঠে এসেছ, আইনজীবী সমিতির ভবন ফুটপাতের কোন দোকান নয় যে জেলা প্রশাসক চাইলেই ভেঙ্গে ফেলতে পারবে।
    ডিসি প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে,যা নেত্রীকে বিতর্কির করার অপপ্রয়াস।
    ১২৫ বছর ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ইতিহাস সম্পর্কে এই জেলা প্রশাসকের কোন ধারনা নেই, তাই উনি চট্টগ্রামে যোগদান করার পর থেকে আইনজীবীদের সম্পর্কে নানা ধরনের ভিত্তিহীন বিশদগার করে যাচ্ছে, যা অতন্ত্য দুঃখ জনক ও মানহানিকর।
    বরঞ্চ জেলা প্রশাসনের লোকজন এই এলাকায় নানাধরণের অবৈধ দোকান বসিয়ে তাদের থেকে নিয়মিত
    ভাড়া আদায় করে যাচ্ছে। বলে অভিযোগ তুলেন এই আইনজীবী নেতা।
    সরকারের নির্দেশনার পর পরীর পাহাড়ে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, “অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য সিডিএ তালিকা করবে যেহেতু সিডিএ অনুমোদন দেয়। তালিকা করে আমাদের দিবে। আমরা উচ্ছেদ নোটিস সৃজন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য উদ্যোগ নেব।”