চাকরি ছাড়ছেন মিয়ানমারের সাংবাদিকরা

    0
    24

    গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশসহ সামরিক জান্তার বিভিন্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সাংবাদিকরা চাকরি ছাড়ছেন। দেশটির সবচেয়ে পুরনো ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর একটি ‘মিয়ানমার টাইমসে’র একডজনের বেশি সাংবাদিক ইতোমধ্যে তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, সামরিক জান্তা গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনার উপর সেন্সরশিপ করছে। খবর মিয়ানমার নাউ ও দ্যা ইরাওয়াদ্দি’র। খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের দৈনন্দিন কাজ ও রিপোর্টিংয়ের ওপর সামরিক জান্তার হস্তক্ষেপ বাড়ছে। ফলে, মিয়ানমার প্রেস কাউন্সিলের ১১ সদস্যের সবাই পদত্যাগ করেছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সামরিক জান্তা দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়কে কিছু বিধিনিষেধ আরোপিত দিকনির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, গণমাধ্যম যাতে ‘নৈতিকভাবে’ খবর প্রকাশ করে এবং ‘মানুষকে সহিংসতায় উসকে দেওয়ার বিষয় পরিহার করে’। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘সেনাবাহিনী কর্তৃক বৈধভাবে গঠিত’ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল (এসএসি) তথা সামরিক প্রশাসনকে ‘ভুলভাবে’ পত্রিকা, সাপ্তাহিক ও অনলাইন গণমাধ্যমগুলো ‘রিজাইম’ বলে উল্লেখ করছে।তাই, জরুরি অবস্থার বিধানের আওতায় গঠিত এসএসিকে যাতে ‘রিজাইম বা জান্তা’ বলে উল্লেখ করা না হয়, এজন্য গণমাধ্যমকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ‘প্রতিবেদন করার সময় জনগণকে উসকে দেওয়ার মতো কিছু লেখা যাবে না এবং গণমাধ্যমের নৈতিকতা অনুসরণ করতে হবে।’মিয়ানমার টাইমসের শীর্ষ স্থানীয় নিউজরুম এডিটরসহ একডজনের বেশি সাংবাদিক তাদের চাকরি ছেড়েছেন। কারণ, তাদের মনে হচ্ছে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিচ্ছেন। আর মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জান্তা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত একটি প্রেস কনফারেন্সে একজন সাংবাদিককে উপস্থিত হতে বাধ্য করার পর সাংবাদিকরা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।পত্রিকাটির সব সাংবাদিক প্রেস কনফারেন্স বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তাকে উপস্থিত হতে বাধ্য করা হয়। মিয়ানমারের বেশিরভাগ গণমাধ্যমই জান্তা প্রশাসনের প্রেস কনফারেন্স বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।প্রেস কাউন্সিলের জয়েন্ট সেক্রেটারি ইউ মিয়ান্ত কিয়াও বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে কাউন্সিল সাংবাদিকদের রক্ষায় তাদের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সাংবাদিক আটক, গ্রেফতার ও হামলার মুখে পড়েছেন। কিন্তু তাদের রক্ষায় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এটি আমাদের এবং গণমাধ্যমের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। ফলে আমরা কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করেছি।’