চান্দগাঁও আবাসিক মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে পুলিশ মুসল্লী সংঘর্ষ, আহত ১০ আটক ৩০

    0
    387


    স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ঃ-
    গত কাল চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে পুলিশের সাথে মুসল্লীদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত অন্তত ৩০ জন আটক হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়। , গত রাতে এশার ও তারাবীর নামাজ আদায় করতে কিছু সংখ্যক মুসল্লী মসজিদে এসে মসজিদে প্রবেশের দরজা বন্ধ থাকায় খুলে দেওয়ার দাবী করে । কিন্তু মসজিদ কতৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা থাকায় মসজিদের দরজা খুলতে অপারগতা প্রকাশ করে, তাদের দাবী সরকারি নির্দেশনা মতে ৫ ফ্লোর বিশিষ্ট মসজিদে ১ ফ্লোরে ২০ জন করে হলে ৫ ফ্লোরে ১০০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারে, কিন্ত মসজিদ কতৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২০ জনের বিষয়ে অনড় থাকায় মুসল্লীরা বিক্ষোভ করতে থাকে, একপর্যায়ে তারা মসজিদের মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতার বন্দী হয়ে এশার নামাজ আদায় করে, এর পর পুলিশ এসে তাদের তারাবীর নামাজে নিয়ত না করে স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়, কিন্তু মুসল্লীরা তারাবির নামাজ আদায় করতে থাকে, ৪ রাকাত শেষ করে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে পুলিশ তাদের হটানোর চেষ্টা শুরু করলে পুলিশ মুসল্লীদের সাথে সংঘর্ষ জড়িয়ে যায় উভয় পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয় বলে জানাযায়। আহতদের চমেক, ইন্টার ন্যাশনাল ডেন্টাল মেডিকেল সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০/৩৫ জনকে আটক করলে ও যাচাই বাঁচায় শেষে ৫ জনকে রেখে বাকী দের ছেড়ে দেয় বলে জানা যায়।
    মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল মনসুর জানান, সরকারি নিয়ম অমান্য করে কিছু সংখ্যক লোক নামাজ নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশ করতে চায়, সরকারি নির্দেশনা থাকায় কতৃপক্ষ ২০ জনের অধিক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, এতে মসজিদ কমিটির সাথে আগত মুসল্লীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা,
    চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান কিছু সংখ্যক লকডাউন বিরোধী দুষ্কৃতকারী নামাজ পড়ার নামে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছিলো পুলিশ তা প্রতিহত করেছে। এতে রাজনৈতিক ইন্দন থাকতে পারে, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করে, পরে যাচাই বাঁচাই শেষে ৫ জনকে আটক করে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক ৫ জন সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।