পাঁচ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা: সিআইডিকে তদন্তের আদেশ

    0
    22

    কারাগারে কয়েদিকে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলামসহ পাঁচ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    মামলায় বাকি চার বিবাদীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, আইজি প্রিজনের গোয়েন্দা সবুজ দাশ ও সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন।

    সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মোতাহের হোসাইন রাসিপ।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কারা হেফাজতে কয়েদি মো. শামীমকে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত নালিশি মামলাটির শুনানি শেষে ৩০ নভেম্বর আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু আদালত আদেশ দেন ৬ ডিসেম্বর।

    ওইদিন মামলাটি উপযুক্ত আদালতে দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর আজ (সোমবার) মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলা আমলে নিয়ে এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা দিয়ে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

    ভুক্তভোগীর স্ত্রী পারভিন আকতার হিরা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন- তার স্বামী মো. শামীম একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৪ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত তিনি কারাগারের ভেতরে মেডিকেল তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন।

    এরই মধ্যে ১২ জুলাই শামীম কারাবিধি অনুযায়ী ডায়েট না দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাকে বিবাদী সুবেদার এমদাদ হোসেন মারধর করেন। এরপর ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শামীমকে বিবাদীরা কারাগারের ভেতর আমগাছে বেঁধে মারধর করেন এবং একই দিন তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। কুমিল্লা কারাগার থেকে নির্যাতনের বিষয়টি শামীম ফোন করে তার স্ত্রীকে জানান।

    মামলার বাদী পারভীন জাগো নিউজকে বলেন, আমার স্বামীকে নির্যাতনের বিষয় অবহিত করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার গত ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করি। এরপর গত ১১ নভেম্বর শামীমকে একটি মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে, তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। সবকিছু খোঁজ নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।