ফাঁসি দন্ড প্রাপ্ত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি ও কারাগারে।

    0
    50

    সেলিম চৌধুরীঃ- ,সিএনএন বাংলাদেশ, , মেজর সিনহা হত্যা মামলা ফাঁসি দন্ড প্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি করন আজ চট্টগ্রামের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে সি ডব্লিউ মুলে কারাগারে প্রেরন করেন । দুনীতি মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় দীর্ঘ ২ বছর পলাতক থাকার পর আজ ২৩ মে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হটাৎ আদালতে উপস্থিত আত্মসমর্পণ করে প্রদীপ স্ত্রী চুমকি।
    আদালত সূত্রে জানাযায় জ্ঞাত আয় বহিঃভুতউনপঞ্চাশ লক্ষ আটান্ন হাজার সাতশত আটান্ন টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের সম্পদ অর্জন ও ম্যানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে
    টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করন (৪৫) এর বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে দূর্নীতিদমন প্রতিরোধ আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ২৭(১) , ম্যানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ৪(২) ও দূর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৪(১) ও দন্ড বিধির ১০৯ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালতে আটককৃত ওসি প্রদীপের এই মামলা এখন সাক্ষ্য গ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে । তার স্ত্রী চুমকি এতদিন পলাতক থাকার পর আজ ২৩ মে আইনজীবীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত সি ডব্লিউ মুলে কারাগারে প্রেরন করেন।
    আসামির আইনজীবী সমীর দাশ গুপ্ত বলেন আসামি নির্দোষ নিরপরাধ, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা শুধু মাত্র প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী হওয়ার কারণে তাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে,
    এদিকে দুদকের নিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদুল হক বলেন এই মামলায় দূর্নীতি দমন কমিশন দীর্ঘ তদন্ত শেষে যাচাই বাচাই করে অভিযোগ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে সুনির্দিষ্ট আইনের ধারা অনুসরণ করে চার্জশীট প্রদান করেছে। মামলা সাক্ষ্যগ্রহন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতি মধ্যে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ও মামলার আই ও আদালতে সাক্ষী প্রদান করেছে। শিগগিরই মামলার রায়ের দিকে যাবে।
    এদিকে প্রদীপ স্ত্রী চুমকি আত্নসমর্পণের খবর ছড়িয়ে পড়লে আদালত এলাকার গণমাধ্যম কর্মীদের ভীড় লেগে যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত আদালত এলাকায় করতে ব্যপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়।