বৃষ্টিও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরী

    0
    20

    তিনদিন ধরে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাচ্ছে নগরবাসী। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। বাসাবন্দী হয়ে পড়ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। গত দু’দিনের মত গতকালের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলি-গলি, নিচতলার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই দুর্ভোগে যেন অন্ত নেই। বেলা ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পানির সাথে যোগ হয় জোয়ারের পানি। ফলে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমেছে কোমর পর্যন্ত।

    গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭৭ মিলিমিটার। যা গত দু’দিনের তুলনায় কম। তবুও যেন ভোগান্তি কমেনি। জলাবদ্ধতা প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নগরবাসী। নালা ও ড্রেনগুলো সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত পরিষ্কার না করলে প্রকল্পের সুফল মিলবে না বলে জানান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লে. কর্নেল মো. শাহ আলী। গত দুই দিনের মত শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। বেলা ১২টার দিকে ধীরে ধীরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।

    এ সময় নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কাতালগঞ্জ, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ আবাসিক, ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গা, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে, নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকায় দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাসা-বাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে।

    অন্যদিকে, বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু কিছু এলাকার পানি সরে গেলেও চকবাজার, বাদুরতলা, বাকলিয়াসহ অনেক এলাকার পানি দীর্ঘক্ষণ ছিল। নালা ও ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় সড়ক ও অলি-গলি থেকে পানি খালে যেতে সময় লেগেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এছাড়া, জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পরিবহন দেখা দেয়। পরিবহন সংকটের পাশাপাশি বাড়তি ভাড়ার নেয়ার অভিযোগও উঠেছে।