মাদরাসায়ও চলবে অনলাইন ক্লাস

    0
    10

    করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অনলাইনে বা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে মাদরাসার অফিস খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    রোববার (২৩ জানুয়ারি) অধিদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা মেনে সব মাদরাসার সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।

    নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সময়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। তাছাড়া সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার মাদরাসা’ শিরোনামে চলমান ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

    যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলবে এবং সব শিক্ষার্থীর দুই ভোজ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।

    নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মাদরাসা বন্ধ থাকার সময় শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি এবং গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিল্প ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় মাদরাসার সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

    নির্দেশনায় মাদ্রাসা অধিদপ্তর বলেছে, জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন মাদরাসা প্রধান। যেসব মাদরাসায় ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান করছে, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসগুলো খোলা থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

    অফিস চালুর বিষয়ে বলা হয়েছে, মাদরাসার অফিস যথারীতি চালু থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অধিদপ্তরের অধীনে সন দপ্তর এবং মাদরাসায় কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে।