মুরাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বর্ডার এজেন্সি: কানাডিয়ান হাইকমিশনার

    0
    23

    নতুন নিয়ম অনুযায়ী, করোনকালীন কানাডা ভ্রমণের জন্য যথাযথ কাগজপত্র না থাকায়, দেশটিতে এখন প্রবেশাধিকার পাননি মন্ত্রিত্ব হারোনো ডা. মুরাদ হাসান। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

    এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডা প্রবেশ করতে পারবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই নিতে পারে দেশটির ইমিগ্রেশন ও বর্ডার এজেন্সি। 

    করোনা মহামারির কারণে, যেকোন ভিসায় কানাডা ভ্রমণের আগে, বিশেষ অনুমতি নেয়ার নিয়ম চালু করে দেশটি। যেখানে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্টসহ, বেশকিছু অনুমোদন প্রয়োজন হয়। 

    আরও পড়ুন: কানাডায় এখনো ঢুকতে পারেননি মুরাদ

    জানা গেছে, ডা. মুরাদ হাসান বাংলাদেশ থেকে টরেন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছলেও, বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি এখনো তাকে প্রবেশাধিকার দেয়নি। 

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এতে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অশালীন ভাষায় ঘায়েল করার এই চেষ্টার পর প্রতিবাদ জানায় বিএনপি। নারী নেত্রীরাও এর সমালোচনা করেন। তিনি এই ধরনের বক্তব্য দিয়েও কীভাবে মন্ত্রিসভায় থাকেন, সেই প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন।

    এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর কাছে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান, তিনি দুঃখ প্রকাশ করবেন কি না। জবাবে মুরাদ বলেন, তিনি বক্তব্যে অটল আর রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সমালোচনাকে গা করছেন না।

    এর মধ্যে ফেসবুকে একটি ফোন রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে, যাতে পুরুষ কণ্ঠের একজন মুরাদ হাসান বলে চিহ্নিত হন। তিনি একজন চিত্রনায়িকাকে তার কাছে যেতে বলেন। না গেলে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তুলে নেয়ার হুমকি দেন। আর সেই নায়িকাকে ধর্ষণ করার ইচ্ছাও পোষণ করেন।

    এর আগে আরও একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও করেন আপত্তিকর মন্তব্য। এসব ঘটনায় ঘরে-বাইরে সব জায়গায় অবস্থান হারান তিনি।