যে দেশে থাকবেন সে দেশের আইন মেনে চলবেন: প্রবাসীদের প্রধানমন্ত্রী

    0
    13
    ????????????????????????????????????????????????????????????????

    প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে দেশে থাকবেন ওই দেশের আইন মেনে চলবেন। নিয়ম মেনে চলবেন। যাতে করে সেই দেশের কাছে আমাদের মুখটা বড় থাকে। আমাদের দেশের সম্মান যেন কখনো নষ্ট না হয়। 

    শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের (প্রবাসী) জন্য স্মার্টকার্ড থেকে সবধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও আছে। যেসব দেশে আমাদের অনিয়মিত শ্রমিক রয়েছে, তারা যেন নিয়মিত হয় সে জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। করোনার সময় আটকে পড়াদের জন্য সরকার বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছিল। আমরা যেখানে, যেভাবেই থাকি না কেন, মেধা, মনন ও শক্তি দিয়ে এগিয়ে যাবো। বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব।

    শেখ হাসিনা বলেন, টানা ১৩ বছর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। দেশকে কেউ আর পেছনে টানতে পারবে না। ’৭৫-এর পর একটা কালো অধ্যায় ছিল, সেই কালোমেঘ কেটে গেছে। জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ দেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না। আজকে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যে, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সরকার থেকে তাদের ভূমি ও জমি নিয়ে ঘরবাড়ি করে দিচ্ছে। তাদের জীবনটাই পাল্টে যাচ্ছে। তাদের এখন অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় না। আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাজেই প্রত্যেকটা মানুষের জীবনমান উন্নত করার পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আবুধাবি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী।

    বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চারটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সফর শেষে ১২ মার্চ দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।