শিক্ষা উপমন্ত্রীর ভাই করোনা শনাক্ত

    0
    173

    চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    রোববার (১০ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি। এদিন দুটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে ৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে সালেহীন একজন।।

    চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২১টি নমুনা পরীক্ষায় ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামে ১৪ জন আর ৯ জন নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা।

    সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে শনাক্ত ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনও। বিআইটিআইডি থেকে পাওয়া রিপোর্টে তাকে বুরহানুল হাসান হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তার বাড়ির ঠিকানা হিসেবে নগরের নাসিরাবাদ, ২০৭ চশমাহীলের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।

    এছাড়া নগরের হালিশহর এলাকার ২ জন, আগ্রাবাদে ১ জন, সরাইপাড়ায় ১ জন, একেখানে ১ জন, উত্তর কাট্টলীতে ১ জন, মুন্সীপাড়ায় ১ জন, কর্ণেলহাটের ১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

    উপজেলায় করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীদের মধ্যে সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, মিরসরাই, হাটহাজারী উপজেলার একজন করে মোট চারজন রয়েছেন।

    এদিকে এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিভিল সার্জন জানান, শনিবার (৯ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়।

    সিভাসুতে শনাক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ১৪ জন লোহাগাড়া উপজেলায়, ১০ জন রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এবং ৭ জন সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া প্রথমবারের মতো রাউজান উপজেলায় ১ জন রোগী শনাক্ত হয়। এদিকে বাঁশখালী উপজেলায় আরও ২ জন ও চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে চিকিৎসাধীন ২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    রোববারে নতুন শনাক্ত ৪৯ জনসহ এখন চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা, রাজবাড়ী, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে শনাক্ত ৭ জনও রয়েছেন।

    এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৬৮ জন। তাদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বর্তমানে ২০৬ জন রোগী আইসোলেশনে আছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২৭ জন।