শ্রীলঙ্কায় সাত দিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, আলোচনায় যারা 

    0
    13

    পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। দেশটিতে সাত দিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছে।

    এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবিবর্ধনে।

    এর আগে গতকাল মালে থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান গোটাবায়া রাজাপাকসে। স্পিকারের গণমাধ্যম বিভাগের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছিল।

    এদিকে পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন জোটের সবচেয়ে বেশি সদস্য থাকলেও, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই বিরোধীদলীয় জোট ও স্বতন্ত্র এমপিদের ঘিরে নানা সমীকরণ তৈরি হয়েছে। তাতে উঠে আসছে পোড় খাওয়া বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের নাম।

    জনবিক্ষোভের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। সংবিধান অনুযায়ীই এই দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।

    তবে, তাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাইছে না জনতা। যাতে সর্বদলীয় সরকারের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু, কে হতে পারেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? প্রধান বিরোধী দল এসজেবির নেতা সাজিথ প্রেমেদাসার নাম তো আছেই, রাজনীতির খেলায় তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন না রনিল বিক্রমাসিংহেও।

    শ্রীলঙ্কার ২২৫ আসনের সংসদে সংখ্যারিষ্ঠতায় দরকার, ১১৩টি আসন। ২০২০ সালে নির্বাচনে গোটাবায়া রাজপাকসের দল ‘পদুজানা পেরামুনাই’ আসন পায় ১১৬টি। এসএলপিপি জোটের দলগুলোর আসন মিলিয়ে তা দাঁড়ায় ১৪৬-এ।

    অন্যদিকে সাজিথ প্রেমেদাসার ‘সামাগি জন বালাওয়েগা’ দখলে নেয় ৫৪টি আসন। আর অনুঢ়া কুমারার জেভিপির আসন পায় মাত্র ৩টি।

    তবে, ২০২২ সালের এপ্রিলে জোটের ৪২ জন এমপি, গোটাবায়ার ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। ৯মে জনতার হামলার সময় মারা যান একজন। তারপরও, সংখ্যার এই খেলায় এখনও এগিয়ে ক্ষমতাসীন জোট।

    যাদের প্রথম পছন্দ রনিল বিক্রমাসিংহে। তাদের ১০৩ আসনের সাথে বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের সমর্থন ফিরে পেলেই ভারপ্রাপ্তের ভার ছেড়ে, পুরোপুরি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন তিনি।

    অন্যদিকে, বিদ্রোহী ৪২ এমপির সাথে জেভিপির ৩ জন, তামিল ন্যাশনাল এলায়েন্সের ১০ জন এবং স্বতন্ত্র ও অন্যদলগুলোর অন্তত ৪ এমপির সমর্থন পেলে, প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সাজিথ প্রেমাদাসা।

    একই সমীকরণে দাঁড়িয়ে জেভিপির অনুঢ়া কুমারা। এছাড়া, ক্ষমতাসীন জোটের ১০৩ জন, তার নিজ দলের ৩ জন এবং বাকি আর ৭ এমপির সমর্থন পেলে, অনুঢ়া কুমারাও হতে পারে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, এই নেতাদের কাকে জনতা মেনে নেবে সেটিও অবশ্য নিশ্চিত নয়।