সবার সাথে বন্ধুত্ব, তবে সার্বভৌমত্বে হামলা হলে প্রতিরোধ: প্রধানমন্ত্রী

    0
    19

    রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে সরকার। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ডিফেন্স স্টাফ কলেজের কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    একই সাথে সরকার প্রধান জানান, সবার সাথে বন্ধুত্ব-এমন পররাষ্ট্র নীতির আলোকে গড়ে তোলা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীকে। তবে স্বার্বভৌমত্বে আঘাত এলে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঐক্য গড়ে তুলতে বিশ্বে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে বলেও মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। 

    এ বছর ডিএসসিএসসি কোর্স থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন ২৫১ জন।

    এসময় গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কোর্সে আপনারা সামরিক জ্ঞান ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। এই জ্ঞান আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন ও যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। আমি চাই, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে। এ জন্য পদবি পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিয়েছি। যাতে প্রতিটি সদস্য সমানতালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলতে পারে।

    তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজকে সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, একদিন বিদেশি বন্ধুরা আমাদের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসবে। আজ তাই হয়েছে। আমাদের ডিএসসিএসসি আন্তর্জাতিকভাবে এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীরাই আমাদের শুভেচ্ছা দূত।

    সরকারপ্রধান বলেন, এক সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে নেতিবাচক কথা ছিল। অবশ্য এখনো কিছু কিছু লোক আছে, যারা আমাদের দেশের বদনাম করতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ফলে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা এবং দেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে আমরা যে দক্ষতা দেখিয়েছি, তাতে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

    বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা পেয়েছে। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবো। আমার একটাই আবেদন নতুন অফিসারদের কাছে, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। সব সময় মাথা উঁচু করে চলতে হবে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হতে হবে।