স্বাধীন-দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয় : তথ্যমন্ত্রী

    0
    226

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, একই সঙ্গে সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    রোববার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ দফতর থেকে অনলাইনে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সব সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই আমাদের একজন সাংবাদিক বন্ধু হুমায়ুন কবীর খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। একই সঙ্গে অনেক সাংবাদিক বন্ধু যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করছি।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। ২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি এক হাজার ২০৮টি।’

    ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খতিয়ান দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল দুটি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চারটি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল ১০টি আর এখন ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে একটিও ছিল না, এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না, এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেয়া আছে, তার মধ্যে অনেকগুলো সম্প্রচারে আছে।’

    ‘এই পরিসংখ্যানই বলে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সেই কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে’ বলেন তিনি।