স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে জরুরি: ড. ইউনূস

    0
    18

    স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। কোনো রকম বিলম্ব কিছুতেই আর গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২২ অক্টোবর) ইউনূস সেন্টার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার বিরোধ বহু পুরনো একটি সমস্যা। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি ইসরাইলের আচরণ এই সমস্যাটি ক্রমেই আরও জটিল করে তুলছিল এবং একটি বিস্ফোরণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। কিন্তু যা ঘটলো তা একটি সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।’

    তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। আর তা হলো দুটি আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি। যে বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনে জাতিসংঘের এই দীর্ঘ-উপেক্ষিত সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নতুবা পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ জানে না। বর্তমান পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা পৃথিবীতে।’

    Advertisement

    ড. ইউনূসের মতে, ‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আর এটি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত অগ্রসর হলে অন্যরাও তাকে অনুসরণ করবে। বাইডেন প্রশাসনকে অবিলম্বে এই অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’

    তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, আমরা সবাই মানুষের দুর্দশার অবসান ঘটাতে, দুর্দশাগ্রস্তদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সহায়ক ও অর্থপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করি এবং দ্রুততম সময়ে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় সব আয়োজন সম্পন্ন করি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই দিনে এবং এই যুগে আমাদের সবারই সম্মিলিতভাবে এই বোধোদয় হওয়া উচিত যে যুদ্ধ ও রক্তপাত আধুনিক সভ্যতার মূল্যবোধ ও অগ্রগতির সঙ্গে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হত্যা ও ধ্বংসের এই অর্থহীন তাণ্ডবলীলা সারা বিশ্ব ব্যথিত হয়ে দেখছে। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি, সংহতি, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের একটি ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য কাজ করা এখন আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।’ 

    আরএইচ