হেফাজতের সমাবেশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব: ইসি সচিব

0
10

আগামী ২৯ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

হেফাজতে ইসলাম ২৯ ডিসেম্বর সমাবেশের ডাক দিয়েছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন। এ বিষয়ে ইসির করণীয় জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বিষয়টি আমারা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব।

তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কমিশন যদি মনে করে আরও কোনো সাজেশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে, তাহলে কমিশন সেটা করবে।

বিএনপি মানববন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে, বিষয়টিতে ইসি কিছু করণীয় আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দেখভাল করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা সেখান থেকেই গণমাধ্যমকে জানতে হবে।

সচিব বলেন, নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো কার্যক্রম অবশ্যই নির্বাচনী পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে যে প্রচলিত বিধি-বিধান ও আইন আছে, তা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে।
এর আগে মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় ২৯ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) চ্যানেল 24 অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের নায়েবে আমির ড. আহমদ আবদুল কাদের।

এদিন বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি, হেফাজত নেতাদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম বিরোধী পাঠ বাতিল এবং হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে মামুনুল হকসহ সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সারাদেশ থেকে জনগণ জড়ো হয়ে মহাসমাবেশ করবে।

নায়েবে আমির মাহফুজুল হক বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল আলেমকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।