বাবাকে হারিয়ে সন্তানের ক্ষোভ নেই, আছে আক্ষেপ। যার নাম আইসিইউ। করোনার সঙ্গে লড়তে থাকা আরেক পিতার সন্তানের হাহাকার, একই জায়গায় ঠেকেছে।তবে আইসিইউ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না বাস্তবতার। তথ্য বলছে, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ২৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি আছে ৯টি। সরেজমিনে দেখা গেল ১৫টি শয্যার একটিও খালি নেই।আরো পড়ুনঃ ৩৭৯ আইসিইউ’র মধ্যে খালি ২০০! আরো পড়ুনঃ ৭০ শয্যার অত্যাধুনিক আইসোলেশন সেন্টার গড়েছেন ৭ ভাই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, ১৫টা চালু আছে। এইগুলো রেডি আছে। এসবের জন্য অ্যানেস্থাসিয়ার দরকার, এখন বাংলাদেশেও তো অ্যানেস্থাসিয়ার শট।একই অবস্থা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের। ১০টি শয্যার সব কটিতেই রোগী। তবে অধিদপ্তর বলছে শয্যা রয়েছে ২৭টি।কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল বলেন, প্রফেশনাল ১০টা আর বাকি ১৭টা চলমান।ঢাকা মেডিকেলের তথ্য আরও গোলমেলে। কাগজে কলমে ৪৮টি আইসিউই শয্যা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হিসাব ১৪টি। ২৪টি এসডিও বেড যোগ করেও সেই হিসেবে মেলে না।ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের যে রিসোর্সটা ছিল সেগুলোকে ট্রান্সফার করে ১৪ শয্যার একটি আইসিইউ করেছি।অধিদপ্তরের হিসেবে রাজধানীতে করোনার জন্য আইসিইউ শয্যা আছে ১৮০টি। যদিও বাস্তবে সেই সংখ্যা ১২৩টি। অধিদপ্তর বলছে, বাকিগুলো শতভাগ প্রস্তুত করে শিগগিরই চালু করা হবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান বলেন, তারা বলছে টোটাল বেডের সংখ্যা, বেড কতগুলো আর কতগুলো আইসিইউ আছে সেটার হিসাবই আমাদের দিয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২৪০টি।