ঢাকাকে বিদায় করে ফাইনালে চট্টগ্রাম

    0
    28

    ২য় কোয়ালিফায়ারে জিতলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে তারা হারিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকাকে। ফলে আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করলো মিঠুনের দল। আর কোয়ালিফায়ার থেকেই ছিটকে পড়লো মুশফিক বাহিনী। মিরপুরে আগে ব্যাট করে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে, লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। এলিমিনেটর রাউন্ডে জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল ঢাকা। তবে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মুশফিকুর রহিমের দল। বিশেষ করে চট্টগ্রামের দুই পেসার মোস্তাফিজ এবং শরিফুলকে সামলাতে হিমশিম খায় দলটি। ব্যাট হাতে আরো একবার ব্যর্থ সাব্বির রহমান। ফিরলেন মাত্র ১১ রান করে। অলরাউন্ডার মুক্তার আলীকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে জুয়া খেলতে চেয়েছিল ঢাকা। তবে সফল হননি তিনিও। মাত্র ৭ রান করে ফিরে গেছেন সাজঘরে। আসরের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটও হাসেনি। তার সংগ্রহ ১২ রান। অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান। তবে তার ইনিংসটি ছিল বেশ ধীরগতির। বল মোকাবেলা করেছেন ৩১টি। ইয়াসির রাব্বির সংগ্রহ ২৪ রান। ২৫ রান এসেছে আল আমিনের ব্যাট থেকে। তবে আকবর, রবিরা ছিলেন ব্যর্থ। নিয়মিত উইকেট হারানোয়, রানের গতিও বাড়ানো যায়নি। ফলে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় মুশির দল। পুরো আসরে বল হাতে বেশ ধারাবাহিক মোস্তাফিজ এই ম্যাচেও শিকার করেন ৩টি উইকেট। ২টি উইকেট গেছে শরিফুলের দখলে। ১১৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরস্থির সূচনা এনে দেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। এই জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। সৌম্য ফিরে যান ২৭ রান করে। কোন তাড়া না থাকায়, ঠান্ডা মাথায় ব্যাট চালাতে থাকেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। অধিনায়ক মিঠুনও খেলেন ৩৪ রানের একটি ইনিংস। ততক্ষণে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে লিটন কিংবা মিঠুন কেউই দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। শেষদিকে শামসুর রহমান শুভ এবং মোসাদ্দেক সৈকত মিলে বাকি কাজটুকু সেরেছেন। এই জয়ের ফলে ফাইনালে উঠলো চট্টগ্রাম। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে জেমকন খুলনার মুখোমুখি হবে মিঠুনের দল।