লকডাউন তোলার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছেই

0
171

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি করা লকডাউন তুলে নেয়ার দাবিতে আবারও বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশনা বাতিলের দাবিতে শনিবার বিকেলে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের সালেম শহরে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।

এদিন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মাস্কসহ কোনও ধরনের সুরক্ষা নির্দেশনা মানেননি। অনেকেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক। বৃষ্টির মধ্যেই তারা পতাকা হাতে ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান, ‘ওরেগন খুলে দাও’, ‘আয় করতে দাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নামে ওরেগন গভর্নর কেট ব্রাউন ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশনা দিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি করছেন এবং এতে হোয়াইট হাউসেরও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।

us-1

বেশ কয়েকদিন থেকেই লকডাউন তুলে নেয়ার জন্য চাপের মুখে রয়েছেন ওরেগন গভর্নর। তিনি জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞা এখনই তুলে নেয়া সম্ভব নয়। তবে আগামী ১৫ মে থেকে কিছু কিছু কাউন্টিতে স্বল্প পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য ফের শুরু হতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনা মহামারি মোকাবিলায় বারবার মানুষজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এসবের তোয়াক্কা না করেই গত মাসে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।

us-1

সে সময় ওকলাহোমা, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, কেন্টাকি, ওহিও, নর্থ ক্যারোলিনা ও মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন স্থাপনার সামনে প্রতীকী বডিব্যাগ রেখে প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। কারও কারও হাতে ভারী অস্ত্রও দেখা যায়।

বিশ্বের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ১১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইসার ধরা পড়েছে। মারা গেছেন অন্তত ৬৬ হাজার মানুষ। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮২ জন।