ত্রিপুরায় ১৫০ মসজিদে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা, মুসলিম অঞ্চলে উত্তেজনা

    0
    12

    ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই নিপীড়নের মুখে নিস্তার মিলছে না পবিত্র মসজিদেরও।

    মূলত বাংলাদেশের কুমিল্লার ঘটনার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যটিতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চ মিলে সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। 

    ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের একাধিক জায়গায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। বিভিন্ন মুসলিম অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    নিরাপত্তাহীনতার মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদনপত্র জমা দিয়েছে জমিয়তে উলামা হিন্দ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫০টি মসজিদে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা শান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ঘটনার জেরে গত ২১ অক্টোবর ত্রিপুরার গোমতি জেলার উদয়পুরে এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে প্রথম উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোনোর চেষ্টা করলে প্রশাসনের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় হিন্দুদের। পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে উগ্রপন্থী হিন্দুরা। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে।

    পুলিশ জানায়, এলাকাটিতে মুসলিমদের বসবাস থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে মিছিল আটকানো হয়। যদিও আরএসএস নেতা অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, আগেই পুলিশের কাছ থেকে মুসলিম বিরোধী মিছিলের অনুমতি নিয়ে রাখা হয়েছিল।

    জমিয়তে উলামা হিন্দের ত্রিপুরা শাখার প্রধান মুফতি তৈবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ঘটনার নিন্দা করি। কিন্তু ত্রিপুরাতে যা ঘটছে, তাও মেনে নেওয়া যায় না। মসজিদ ও মুসলিমদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।

    অনির্বাণ রায় চৌধুরী নামে এক সাংবাদিকের দাবি, গত তিনদিন ধরে ত্রিপুরায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। শাসকদল বিজেপির ইন্ধনেই এমনটা হচ্ছে।

    যদিও ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য গৎবাঁধা বক্তব্যে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনাকে বিজেপি সমর্থন করে না।