নাইজেরিয়ান তরুণ দুই বছর একটানা সাইকেল চালিয়ে ওমরাহ্‌ করতে সৌদিআরব

    0
    19

    আব্দুল্লাহ আল মামুন,আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক :একজন তরুণ নাইজেরিয়ান সাইক্লিস্ট পবিত্র মক্কায় ওমরাহ পালন করতে এবং পবিত্র মদিনায় মসজিদে নববীতে নামাজ পড়তে এবং রাসূলের রওজা জিয়ারত করতে গত দুই বছর সাইকেল চালিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

    জানা যায়, আলিউ আবদুল্লাহি বালা নামে একজন নাইজেরিয়ান সাইক্লিস্ট গত ৮ ডিসেম্বর জেদ্দায় পৌঁছান,নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়াহায়া লাওয়ালের পক্ষ থেকে জেদ্দায় কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

    নাইজেরিয়ান দূতাবাস একটি বিবৃতিতে বলেন তাকে সমস্ত সম্ভাব্য কনস্যুলার সহায়তা,নির্দেশনা এবং উত্সাহ দেওয়া হয়েছে।কনস্যুলেট তার সাইকেলে করে পবিত্র শহর মক্কা ও মদীনায় ভ্রমণ অগ্রযাত্রার সকল সুবিধা দিয়েছে।

    নাইজেরিয়ান দূতাবাস বিবৃতিতে আরও বলেন,নাইজেরিয়ান থেকে আগত সাইকেল চালককে সৌদিআরবে স্বাগত জানায়,যিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জোস,মালভূমি ছেড়ে পবিত্র মক্কায় ওমরাহ এবং পবিত্র মদিনায় মসজিদে নববীর রাসূলের রওজা মোবারক জিয়ারতের নিয়তে বের হন ।

    সৌদিআরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাইজেরিয়ান সাইক্লিস্টের সাথে দেখা করেন এবং মদীনায় নবীর মসজিদ পরিদর্শন শেষে জেদ্দায় ফিরে আসেন।

    এদিকে আবেগপ্রবণ হয়ে আলিউ আবদুল্লাহি বালা বলেন,এটি আমার জীবনের একটি যাত্রার মতো ছিল,এটি ছিল আমার স্বপ্নের সত্যতা,সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পালন করার সাহস দেওয়ার জন্য।

    আলিউ আবদুল্লাহি বালা যিনি আধুনিক সময়ে নাইজেরিয়া থেকে এই ধরনের যাত্রা শুরু করার প্রথম ব্যক্তি,সৌদিআরব আসার পর থেকে তিনি অনেক আনন্দিত এবং নিজেকে গর্ববোধ মনে করছেন।

    সাইক্লিং করে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে নাইজেরিয়া থেকে যাত্রা শুরু হওয়া তার কঠিন অসংখ্য বাধা এবং বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এবং তার গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে নাইজার, চাঁদ এবং সুদানের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে।

    দীর্ঘ এই যাত্রায় ঘঠেছে নানা দুর্ঘটনা এবং বিপত্তি তার মোবাইল ফোনটি দস্যু কর্তৃক কেড়ে নেওয়া হয় এবং বন্য প্রাণীদের হামলার সম্মুখীন হন।

    মোবাইল ডাকাতির ৌভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পরে সুদানের একটি ছোট শহর থেকে কিছ উদার মনের মানুষেরা আলিউ আবদুল্লাহি বালাকে একটি নতুন মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিল।
    দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে তিনি প্রায়শই ঝোপের মধ্যে ঘুমাতেন।