পুরোনো আদালত ভবন এলাকাকে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে জেলা প্রশাসন ‘সংবাদ সন্মেলনে আইনজীবী সমিতি।

    0
    793


    বিশেষ প্রতিনিধি ঃ- চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নামে উদেশ্য প্রনোদিত নিয়মিত অসৌজন্য মুলক, বিভ্রান্তিকর, মিথ্যাচার করে জেলা প্রশাসক আইনজীবীদের সন্মান ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যা অতন্ত্য দুঃখও জনক। এ-সব বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানানো হয় , তা না করলে আইনী ব্যবস্হা গ্রহণের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি।
    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর রবিবার জেলা আইনজীবী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলন এদাবী করা হয়।
    সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এ এইচ এম জিয়া উদ্দীন, এসময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি এনামুল হক, সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল কবির চৌধুরী, সৈয়দ মোক্তার হোসেন, কফিল উদ্দীন, বদরুল আনোয়ার, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবদুল রশিদ,মনতোষ বড়ুয়া নাজিম উদ্দীন, সহ সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ।
    সংবাদ সন্মেলনে দাবী আরো করা হয় চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় প্রায় ৩৫০ টি অবৈধ ভাবে দোকানপাট হোটেল নির্মান করে সেগুলো থেকে জেলা প্রশাসকের লোক জন নিয়মিত ভাড়া আদায় করে আসছে,
    এই এলাকায় কোন ছাত্রাবাস না থাকলেও পত্র পত্রিকার মাধ্যমে আইনজীবী সমিতি নামে ছাত্রাবাস ভাড়া দেওয়ার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে,
    এদিকে আইনজীবী সমিতির নিজস্ব ভূমির উপর যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সরকারী সহায়তায় ভবন নির্মাণ করলে ও তা অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটি জঘন্য মিথ্যাচার, আপত্তিকর ও মানহানিকর ও বঠে এসব করে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করে বরিশালের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আইনজীবী সমিতি সংঘাত এড়িয়ে আইনী পথ অনুসরণ করবে।
    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান একটি দায়িত্বশীল সন্মানিত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চেয়ারে বসেও এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন অযাচিত আচরণ আইনজীবী সমাজকে হতবাক করছে বলেও দাবী করেন আইনজীবী নেতারা।
    সংবাদ সন্মেলন আরো দাবী করা হয় জেলা প্রশাসকের অধীনে এল এ শাখায় ঘুষ দূর্নীতি ছাড়া কোন কাজ হয় না। ২০ – ৩০ % কমিশন ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর হয় না। কমিশনের এই টাকা প্রশাসনের সকলের মাঝে বন্টন হয়, পুরনো আদালত ভবন এলাকাটিকে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বলেও অভিযোগ করেন।
    পুরাতন আদালত ভবন, কোর্ট হিল একাকায় জেলা প্রশাসক একনায়কতন্ত্র ও দখলদারিত্ব কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।