ভোজ্যতেলের সংকট ‘মেটাতে’ পাম ওয়েলে রপ্তানি শুল্ক কমাচ্ছে মালয়েশিয়া 

    0
    15
    প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা ছুঁই ছুঁই, কাল থেকেই কার্যকর

    বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেলের সংকট ‘মেটাতে’ পাম ওয়েলে রপ্তানি শুল্ক কমাতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। এছাড়া বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে বায়োডিজেল নীতিও শিথিল করতে যাচ্ছে তারা। দেশটির বৃক্ষরোপণ, শিল্প ও পণ্য মন্ত্রী জুরাইদা কামারুদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইতোমধ্যে তার মন্ত্রণালয় পাম ওয়েলে রপ্তানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব মালয়েশীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে তারা।

    জুরাইদা কামারুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম ওয়েল উৎপাদনকারী। এটি রপ্তানিতে দেশটিতে বর্তমানে ৮ শতাংশ শুল্ক বিদ্যমান। এ থেকে ৪-৬ শতাংশ শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এ করহার অস্থায়ীভাবে কমানো হবে। আগামী জুনের শুরুতে তা কার্যকর হতে পারে।

    বৃক্ষরোপণ শিল্প ও পণ্য মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিশ্বে ভোজ্যতেলের সংকট চলছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসীকে আমরা একটু স্বস্তি দিতে চাই। তাই অতিরিক্ত পাম ওয়েল রপ্তানি করতে চাচ্ছি। সেই লক্ষ্যেই এ প্রস্তাব করা হয়েছে।’

    রাশিয়া হামলা চালানোর পর ইউক্রেনের সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি পাম ওয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইন্দোনেশিয়া। ফলে বিশ্বজুড়ে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

    এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান আর শক্ত করতে চায় মালয়েশিয়া। পরিপ্রেক্ষিতে পাম ওয়েলে রপ্তানি শুল্ক কমাচ্ছে তারা।

    সাবান, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, কেক থেকে শুরু করে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় পাম ওয়েল। বৈশ্বিক চাহিদার ভোজ্যতেলের ৬০ শতাংশই এর দখলে।

    আরও পড়ুন: শক্তি হারিয়েছে অশনি, ২৪ ঘণ্টায় পরিণত হবে নিম্নচাপে 

    আর বিশ্বব্যাপী মোট পাম ওয়েল রপ্তানির ৮০ শতাংশই করে ইন্দোনেশিয়া। এ পরিস্থিতিতে দেশটি তা রপ্তানি বন্ধ করায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ভোজ্যতেলের বাজারে। তাদের অনুপস্থিতিতে বিশ্বাজারে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে মালয়েশিয়া। 

    জুরাইদা কামারুদ্দিন জানান, বিশ্বের পাম ওয়েল আমদানিকারক অনেক দেশ মালয়েশিয়াকে রপ্তানি শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে। ভারত, ইরান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিনিময় বাণিজ্যের প্রস্তাব দিয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে এ পদেক্ষেপ নেয়া হয়েছে।