মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি পরিবারের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ

    0
    24

    প্রবাস চক্রবর্তী ,

    আজ কাল স্মার্ট
    মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি প্রায় ঘরে ঘরে হয়ে গেছে। ছোট বাচ্চাদের খাবার খাওয়ার সময় মোবাই দিতে হয়। এটা রীতিমত বদঅভ্যাসে রুপ নিয়েছে।শাহানাজ বেগম নামের এক গৃহবধূ এ প্রতিবেদনে বলেন,ছেলে কান্না কাটি থামাতে মোবাইলে মটু পাতলু দেখাতে হয়।

    শিশু-কিশোরদের মধ্যে বেড়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রবণতা। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় শিশু-কিশোররা ব্যস্ততা থাকে ইন্টারনেট ভিত্তিক গেমস ও নানা ভিডিও দেখা নিয়ে।

    এছাড়াও গ্রাম পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের মধ্যে টিকটক আর লাইকি নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এভাবেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে তাদের।

    উঠতি বয়সে বখাটেপনা, দাদাগিরির মনোভাব নিয়ে নানান অনৈতিক কাজও করে বেড়াচ্ছে তারা। সংঘটিত হচ্ছে কিশোর অপরাধ বা কিশোর গ্যাং।
    মফস্বল এলাকায় গ্যাং কালচারে প্রবেশ ঘটছে এভাবেই।
    স্থানীয় সচেতন মহলের একাধিক ব্যক্তি এভাবেই ব্যাখ্যা করেন বিষয়টির।

    সরেজমিনে ঘুরে এবং একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে মাল্টিমিডিয়া মোবাইল সেট অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের। প্রাথমিকের গন্ডি পার না হওয়া এক শ্রেণির শিশু থেকে শুরু করে উঠতি বয়সীদের হাতে হাতে এখন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় ইন্টারনেটভিত্তিক নানা গেমস নিয়ে মেতে থাকে কিশোরদের দল। ফোনে টাকা বাজি ধরে লুডু খেলে বলেও জানা গেছে।

    এছাড়া ফোনসেট এবং ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় থাকায় সহজেই পর্নো ভিডিওসহ অশ্লীল ও অনৈতিক ভিডিও দেখার সুযোগ অনায়াসেই পেয়ে যাচ্ছে অপরিণত বয়সীরা। আর এসব শিশু-কিশোরই একটু বড় হলে জড়িয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্মে। দলবেঁধে আড্ডা দেওয়া, মাদকদ্রব্য গ্রহণ, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে তারা। এসব কাজকে স্মার্টনেসও মনে করে তারা।

    উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পরিবারের অসচেতনতার কারণেই কিশোররা বখাটে হয়ে যাচ্ছে। অপরিণত বয়সে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা না দেওয়ায় দিন দিন মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ছে তারা। লেখাপড়া থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর বাজারে, রাস্তার মোড়ে আড্ডা দেওয়া এবং গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় তৈরি হচ্ছে তাদের একাধিক গ্রুপ। বড়দের সঙ্গে বেয়াদবি, শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করতেও দ্বিধা করে না উঠতি বয়সীদের একটা শ্রেণি। আধিপত্য নিয়েও পরস্পরকে বিরোধে জড়াতে দেখা যায়। মূলত মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ফলেই উঠতি বয়সীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনা বলে শিক্ষক ও সচেতন অভিভাবকদের ধারণা।