জানাজায় ডান্ডাবেড়ি-হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো: তথ্যমন্ত্রী

    0
    11

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরে অংশ নেন বিএনপি নেতা মো. আলী আজম। এ ঘটনায় মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জানাজায় অংশ নেয়ার সময় ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।

    বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিষয়টির দিকে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

    এর আগে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) কালিয়াকৈর উপজেলায় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম মায়ের জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় অংশ নেয়ার সময় আলী আজম ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিলেন।


    গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ২০ ডিসেম্বর সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ এলাকায় জানাজায় অংশ নেন আলী আজম।

    এ ঘটনায় স্বজনরা জানান, আলী আজম মাকে শেষবার দেখার জন্য ও জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সোমবার গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন। ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ার কারণে পরদিন, অর্থাৎ তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান বিএনপি নেতা।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলী আজম প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পরে সকাল ১০টায় বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে হাজির হয়। বেলা ১১টায় তার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মায়ের দাফন শেষে ফের কারাগারে নেয়া হয় তাকে। এই পুরো সময় ডান্ডাবেরি ও হাতকড়া অবস্থায় ছিলেন আলী আজম।

    এই বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি চেক করেছি। গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ডান্ডাবেড়ি বা হাতকড়া পরানো কিংবা না পরানো জেল প্রশাসনের কাজ। তা পুলিশের অধীনে নয়। সেই প্রশাসনের অধীনে একজন আইজি প্রিজন রয়েছেন। পুলিশের যে মহাপরিদর্শক, তাদের অধীনেও নয়। ডান্ডাবেড়ি বা হাতকড়া পরায় জেল প্রশাসন। বিষয়টি আমি চেক করেছি। তাকে প্যারোলে কয়েক ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

    ড. হাছান বলেন, কিছুদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের ক্ষেত্রে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন ছিল তা করা হয়নি বলে উঠে এসেছে তদন্তে। এ কারণেই পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা। ফলে তারা (গাজীপুর) অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে।

    তিনি বলেন, এসপি পর্যায়ে কথা বলেছি আমি। বিষয়টি জানতেন না তারা। বিএনপির ওই নেতাকে যারা বহন করেছে শুধু তারাই জানতেন। বাকি কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।