বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের চোখে এখনও ভাসছে জ্বলন্ত আগুনের দৃশ্য

    0
    11

    ঢাকার সদরঘাট থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরগুনা যাচ্ছিলো এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ। শীতের রাত, যাত্রীসহ সবাই তখন ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল এলাকায় পৌঁছালে লঞ্চে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আগুন লাগে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মূহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। 

    জীবন বাঁচাতে যে যেভাবে পেরেছেন চেষ্টা করেছেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই অনেক জীবন্ত মানুষ। যারা বেঁচে ছিলেন তাদের উদ্ধারের পর নেয়া হয় বরিশাল মেডিকেলে। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    সকাল হওয়ার পর লঞ্চজুড়ে পাওয়া যায় মরদেহের কঙ্কাল। আর পাড়ে স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে একাধিক কমিটি। লঞ্চটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহল।

    আহত যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। এ সময় যাত্রীদের বেশির ভাগই ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে লঞ্চের স্টাফরা ঝালকাঠির যাত্রীদের ঘাটে নামার জন্য ডাকতে থাকেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই আগুন দেখতে পেয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করেন যাত্রীরা। এ সময় জীবন বাঁচাতে কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে। অধিকাংশ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এমভি অভিযান লঞ্চ ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া সবার চোখে এখনও ভাসছে দাউ দাউ করে জ্বলন্ত আগুনের দৃশ্য।